
সোমবার (১২ মে) রাত ৮টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরাফাত নটরডেম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। বাবার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সহপাঠী বিশ্বনাথ চৌধুরী ও রিমন চৌধুরী জানান, তারা তিনজনই নটরডেমের প্রথম বর্ষের ছাত্র। কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডের একটি ফ্ল্যাটে তারা বসবাস করেন। দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে তারা যে যার রুমে রেস্ট করছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে আরাফাতের রুম ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান তারা। তখন ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া মেলেনি।
পরে আশপাশের ভাড়াটিয়াদের ডেকে এনে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আরাফাতের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার
আরাফাত গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে দাবি করলেও এর কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি সহপাঠী বিশ্বনাথ এবং রিমন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
একইদিন দুপুরে ধ্রুবব্রত দাস নামে নটরডেম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। কলেজটির একটি ভবনের তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়।