
গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। রোববার (১৮ মে) এ তথ্য জানানো হয়। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার রাতভর হামলায় ১৩০ জন নিহতের মধ্যেই আবার নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী।
কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হওয়া হামাসের সঙ্গে নতুন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ইসরায়েল গাজায় হামলা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। উভয় পক্ষ থেকেই যুদ্ধবিরতি আলোচনা অগ্রগতি না হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, দোহায় শুরু হওয়া সবশেষ আলোচনার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তিসহ হামাসকে প্রত্যাহার ও তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণের কথা বলা হয়। কিন্তু হামাস আগে থেকেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে।
ইসরায়েলের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইসরায়েল তার প্রস্তাবে কিছুটা নমনীয় থাকলেও হামাস তা মেনে নেয়নি। ফলে এ নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে গিডিয়নের রথ নামে গাজায় যে স্থল অভিযান শুরু হয়েছে, এর মাধ্যমে ৬৭০ জনের বেশি হামাস সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ডজন খানেক হামাস সদস্য নিহত হয়েছে।ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নারী ও শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে
দোহার আলোচনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হামাসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রস্তাবে কোনো পরিবর্তন নেই, তারা যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা ছাড়াই জিম্মিদের মুক্তি চাইছে।
তিনি আরও বলেন, সব জিম্মিদের তখনই মুক্তি দেওয়া হবে, যখন গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রত্যাহার এবং গাজায় ত্রাণ সরবরাহ চালু ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের ফেরত দেয়া হবে।